সাটুরিয়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

সাটুরিয়া প্রতিনিধি ২২ নভেম্বর:

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় যৌতুকের বলি হলো রুবি আক্তার নামে এক গৃহবধূ। স্বামীকে এপাচি মোটর সাইকেল না দেওয়ায় অমানবিক নির্যাতন করা হতো এই গৃহবধূকে। এ ঘটনায় স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে শনিবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে ওই গৃহবধূ। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

বিষয়টি সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান মিঞা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায় নিহত গৃহবধূ ধামরাই উপজেলার আগতাড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্যেণির ছাত্রী ছিল। আর ছেলে রাজু আহম্মেদ এবার এসএসসি পাশ করেছে। কিভাবে বাল্য বিয়ে হলো তা খতিয়ে দেখা হবে।

প্রতিবেশীরা জানান, সাটুরিয়ার বরাইদ ইউনিয়নের দক্ষিন রৌহা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মো. রাজু আহম্মেদ এর সাথে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজলার সাক্ষীপাড়ার গ্রামের মো. পিয়ার আলীর মেয়ে রুবি আক্তারকে ৬ মাস আগে বিয়ে হয়।

বিয়ের সময় তাদের চাহিদা মতো যৌতুক দেন পরিবারটি। এরপর বিয়ের দুই মাস যেতে না যেতে ছেলে পক্ষ একটি মোটর সাইকেল যৌতুক দাবী করে। রুবির বাবা মোটচর সাইকেল দিতে অস্বীকার করলে গৃহবধূ রুবি উপর চালাতো অমানবিক নির্যাতন। ওই গৃহবধূ স্বামী ও শাশুড়ির অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীর বাড়িতে নিজের ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আতœহত্যার পথ বেঁেচ নেয়। এঘটনায় সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা প্ররোচনা মামলা হয়েছে।

গৃহবধূর মা শাহানাজ বেগম জানায়, ছয় মাস আগে রাজুর সাথে আমার মেয়ের নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বিয়ে হয়। বিয়ের দুই মাস পর থেকে জামাই একটি এপাচি মোটর সাইকেল দাবী করে। আমরা দিয়ে অস্বীকার করলে ছয় মাসের মধ্যে আমার মেয়েকে আটকিয়ে রেখে মেয়ের শাশুড়ি পারুল বেগম ও জামাই রাজু মেয়ের উপর নির্যাতন করত। মেয়ে মোবাইল ফোনে নির্যাতনের কথা আমাদের বলত। আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করতে দিত না জামাই। অন্যের বাড়ি গিয়ে চুরি করে আমাদের সাথে নির্যাতনের ঘটনা বলত। স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে আমার মেয়ে আতœহত্যা করে।

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি মো. মতিয়ার রহমান মিঞা বলেন, গৃহবধূর মা শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে জামাই রাজু ও শাশুড়ি পারুল বেগমের নামে একটি হত্যা প্ররোচনা মামলা করেছে। নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২২ নভেম্বর ২০২০।

আরো পড়ুুন