হেদায়েত উল্লাহ্ঃ এবার সাটুরিয়ায় এইচ.এস.সি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে।
অর্ধেক শিক্ষার্থীও পাশ না করায় অভিভাবকরা চরম হতাশা বিরাজ করছে। আর শিক্ষকরা
দাবি করছেন সন্তানের পড়াশুনার বিষয়ে অভিভাবকরা যথেষ্ট
সচেতন
নন বলেই এমন ফলাফল। আর অভিভাবকরা
বলছেন প্রথমবারের মতো গণিতে
সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি
চালু করাও
বাজে
ফলাফলের জন্য
দায়ী।
থেকে
মোট
১২২৮
জন
পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে
৫৬৭
জন
উত্তীর্ণ হয়েছে
এবং
৬৬১
জন
উত্তীর্ণ হতে
পারেনি।
পাশের
হার
মাত্র
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
৪৬.১৭%। জিপিএ–৫ ও পেয়েছেমাত্র
১
জন
শিক্ষার্থী।
পরীক্ষার দিনের
মধ্যবর্তী ব্যবধান কমানো,
পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক কমিয়ে
রাইটিং
পার্টের নম্বর
বাড়ানো,
প্রথমবারের মতো
গণিতে
সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি
চালু
বাজে
ফলাফলের জন্য
দায়ী। এছাড়া এলাকায়
অতিরিক্ত বেশি
লোডশেডিংও পরীক্ষার ফলাফলে
ভূমিকা
রেখেছে
বলে
অনেকে
মনে
করছেন।
এ
বিষয়ে
উপজেলার একমাত্র সরকারী
কলেজ,
সরকারী
ভিকু
মেমোরিয়াল কলেজের
অধ্যক্ষ আবুল
হোসেন
শিকদার
বলেন,”রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী হলেও
সাটুরিয়া একটি
পিছিয়ে
পড়া
এলাকা।এ এলাকার
অভিভাবকগণ সন্তানের পড়াশুনার বিষয়ে
যথেষ্ট
সচেতন
নন।
আর
ঢাকার
নিকটবর্তী হওয়ায়
ভালো
ও
অবস্থাপন্ন শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই শহরের
কলেজে
ভর্তি
হয়।এলাকার কলেজগুলোতে সাধারণত মাঝারি
ও
নিম্নমানের শিক্ষার্থীরা ভর্তি
হয়।
তবে
আমরা
চেষ্টা
করছি
আমাদের
জায়গা
থেকে
সার্বিকভাবে অবস্থার উন্নয়নের জন্য।“
বিগত
বছরের
ফলাফল
বিশ্লেষণ করে
তিনি
আরো
বলেন,
“২০১৫
তে
কলেজে
পাশের
হার
ছিল
মাত্র
৩১%,২০১৬ তে ৩৫%
আর
এ
বছর
পাশের
হার
৪২%। আমি
আশা
করছি
ধীরে
ধীরে
এ
হার
আরো
বাড়বে
এবং
সার্বিকভাবে উপজেলার ফলাফল
ভালো
হবে।”
তবে
এর
জন্য
তিনি
অভিভাবকের সন্তানের পড়ালেখার খোঁজ
নিতে
বলেন
এবং
তাদের
পড়াশুনার প্রতি
উৎসাহিত করতে
বলেন।
এ
বিষয়ে
উপজেলার একমাত্র জি.পি.এ.-৫
পাওয়া
কলেজ
সাটুরিয়া সৈয়দ
কালু
শাহ
কলেজের
অধ্যক্ষ জাহিরুল ইসলাম
খাঁন
টিটু
বলেন,”কয়েক বছর আগেও
আমার
কলেজ
জেলার
শ্রেষ্ঠ কলেজ
হিসেবে
নির্বাচিত হয়েছে। তুলনামূলকভাবে এ
বছর
আমার
কলেজের
ফলাফল
অনেক
বাজে
হয়েছে। তবে আমরা
আমাদের
সর্বোচ্চটা দিয়ে
চেষ্টা
করবো
যাতে
পরবর্তী বছরগুলোতে আমাদের
ফলাফল
আরো
ভালো
হয়।আমি
ও
অন্যান্য শিক্ষক
এ
বিষয়ে
বদ্ধপরিকর।“
এ
বিষয়ে
জানতে
চাইলে
সাটুরিয়া উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা
অফিসার
সাবেরা
সুলতানা জানান,”আমরা এ বছরের
ফলাফলে
হতাশ।ভবিষ্যতে ফলাফলের উন্নয়নের জন্য
সংশ্লিষ্ট সকলের
সাথে
আলোচনা
করে
আমরা
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করবো।“
এ
বিষয়ে
উপজেলার বালিয়াটীর সন্তান
ও
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা
বিভাগে
অধ্যয়নরত অপু
বসাক
বলেন,”উপজেলায় মেধাবী ছাত্র–ছাত্রীর অভাব
নেই।তবে শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব
ও
যথেষ্ট
পরিশ্রমের অভাব
বাজে
ফলাফলের জন্য
অনেকাংশে দায়ী।তবে,প্রশ্নফাঁসের প্রবণতাই এরকম
বাজে
ফলাফলের জন্য
সবচেয়ে
বেশি
দায়ী। শিক্ষার্থীরা এখন
আগের
রাতে
প্রশ্ন
পেয়ে
পরীক্ষায় দেয়ার
অপেক্ষায় থাকে।এ
বিষয়ে
এলাকার
অভিভাবকরাও যথেষ্ট
সচেতন
নন।এখন
আর
শিক্ষার্থীরা তাদের
মেধার
বিকাশ
করতে
উৎসাহী
নন।
আমি
আশা
করি
অদূর
ভবিষ্যতে এ
অবস্থা
দূর
হবে
এবং
উপজেলার শিক্ষার্থীরা তাদের
মেধার
স্বাক্ষর রেখে
ভালো
ফলাফল
বয়ে
আনবে।“
সাটুরিয়ার ৩ টি কলেজের শিক্ষকদের শুধু মাত্র বাণিজিক চিন্তা ভাবনা থাকার কারনেই
এমন হচ্ছে। সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজে সবচেয়ে বেশী ছাত্র- ছাত্রী রয়েছে। তারা
অনার্স চালু করেছে, কিভাবে আরো শাখা বাড়ানো যায় শুধুই চিন্তা,
ফরমালি চিন্তা ভাবনা, মানের বিচার করেন তারা। মাস গেলেই টাকা। বালিয়াটী কলেজ শুধু
নামেই আছে, তাদের কোন কাযতক্রম নেই। এ কলেজের কোন ছাত্র- ছাত্রী ও শিক্ষক নেই
শুধু খাতা কলমে এ মান নিয়ে তা আর ভাল ফলাফল আশা করা সম্ভব না।
ফলাফল
করবে
এমনটাই প্রত্যাশা সবার।