ঘিওরে টাকার বিনিময়ে মুক্তি পেল প্রেমিক যুগল

ঘিওর প্রতিনিধি, ১০ মে: পরকীয়ার সময় হাতে নাতে আটকের পর পুলিশের কাছে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনা মিমাংসা করলো বানিয়াজুরি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রাজা। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরি ইউনিয়নের তরা গ্রামে।

বিষয়টি বানিয়াজুরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চতু নিশ্চিত করেছেন।

পরকীয়া প্রেমিক আনোয়ার হোসেন লিটন সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও সদর উপজেলার গড়পাড়া চান্দর এলাকার হাসেম আলীর ছেলে। এবং গৃহবধু আইরিন কুড়িগ্রাম জেলার শাহীবাজার এলাকার মিনহাজুল ইসলামের স্ত্রী ও মানিকগঞ্জ পৌরসভার সেওতা এলাকার হামিদ আলীর মেয়ে।

এলাকাবাসী জানান,চলিত মাসের এক তারিখ থেকে ঘিওর উপজেলার তরা এলাকার হাবেল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন মোসাম্মত আইরিন (২৫) নামের একগৃহবধু। বুধবার মধ্যরাতে ওই ভাড়া বাড়িতে দেখা করতে যান পরকীয়া প্রেমিক আনোয়ার হোসেন লিটন (২২)।এসময় পাশের বাড়ির লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে জরো করেন। পরে এলাকাবাসী আইরিনের ঘরে লিটনকে দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে লিটন পরকীয়ার কথা শিক্ষার করে। এসময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা উভয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজাসহ এলাকাবাসীর কাছে বিয়ের কথা শিকার করেন।কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজা দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনা মিমাংসা করে দেন।

ইউপি সদস্য আব্দুর রাজা বলেন,ঘটনার পর পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু তারা উভয়ই বিয়ে করার কথা বলায় পুলিশ তাদেরকে আমাদের কাছে রেখে যায়।পরে বিকেলে তাদের পরিবারের কাছে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এসময় তিনি টাকার কথা অশিকার করেন।

বানিয়াজুরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চতু বলেন,রাজা আমাকে (ইউপি সদস্য) বলেছে,ছেলেকে তার পরিবারের কাছে আর মেয়েকে তার মেয়ের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।এধরনের ঘটনা মিমাংসা করার কোন ইখতিয়ার আমাদের নেই। এসব ঘটনায় আইনের আশ্যয় নেওয়া ভালো।

তরা এলাকার নাঈম ও মনির জানায়, ইউপি সদস্য রাজার ছেলে পরিবারের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা নিয়েছে।এলাকার ছেলে ১হাজার বা ৫শ টাকা হারে দিয়েছে। আমাদের দুজনকে ১হাজার টাকা দিয়েছে চা নাস্তা খাওয়ার জন্য।

স্থানীয় চৌকিদার বিল্লাল হোসেন জানান, ছেলে ও মেয়ে মেম্বার এলাকাবাসী বিয়ের জন্য রাজি ছিলেন। কিন্তু কি কারনে বিয়ে হলো না তা বুঝতে পারলাম না।ওই নারী যে বাড়িতে থাকতেন ওই বাড়ি বাড়া দিয়ে বিকেলে মেয়েকে পাশে একটা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় মেম্বার।

এবিষয়ে ঘিওর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন,ঘটনা শোনার পর ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। তারা উভয় বিয়ের কথায় রাজি থাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য এলাকাবসীর কাছে তাদের রেখে আসা হয়।

মানিকগঞ্জ২৪/ ঘিওর/ হা.ফ/ ১০ মে ২০১৮।
আরও পড়ুন: সাটুরিয়ায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

আরো পড়ুুন