২৮ মণ ওজনের ষাঁড় সোনাবাবু বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চান খামারী

সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ৬ আগষ্ট:

সোনা বাবু হ্যা এটি একটি ষাঁড়ের নাম। শনিবার জন্ম তাই আদর করে সোনাবাবু বলেই ডাকেন খামারী ও তার পরিবার। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালনগর গ্রামের আবুল হোসেন এ বছর ঈদুল আযহা উপলক্ষে ষাঁড়টি মোটা তাজা করেছেন। হাটে নয় বাড়ি থেকেই উপযুক্ত মূল্যে বিক্রি করতে চান।

মঙ্গলবার বিকালে সোনাবাবু দেখতে গেলে দেখাযায় খামারী আদর করছেন। আবুল হোসেন বলেন সোনাবাবুর বতর্মান বয়স ৫ বছর। দাত ৫টি। পালের সিদ্ধি জাতের এ ষাঁড়টি খুব কষ্ট করে সন্তানের মত  লালন পালন করেছি। খুবই শান্ত সোনা বাবু। ৫ বছরে কোনসময় উত্তেজীত হতে দেখিনি।

খামারীর স্ত্রী হামিদা বেগম বলেন, আমার এক ছেলে এক মেয়ের সংসার। মেয়ে বিয়ে দিয়েছি আর ছেলে চাকুরী করে । বাড়িতে আমরা ২ জন আর সোনা বাবুথাকে। ৫ টি বছর আমার স্বামী শুধু এ ষাঁড়টিকেই খাইয়েছে। প্রতিদিন  কাচাঁ ঘাষ, গমের ভূসি, শুকনা খড়, ভুট্টা, ধান ও গম ভাঙ্গা, ছোলা, চিড়া, আখের গুর, মালটা, কলা, পেয়ারা, মিষ্টি লাউ, নালী খাওয়ানো হয়েছে।

সম্পুর্ণ দেশীয় পদ্বতিতে পরম যতে লালন পালন করা ২৮ মণ ওজনের ষাঁড়টি দেখতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে দেখতে আসছেন।  ক্রেতাগণ সরাসরি খামারী আবুল হোসেনের সাথে কথা বলতে পারেন: ০১৭৩৯ ৮৬৯৮৯৬।

গোপালনগর গ্রামের আলহাজ বলেন, ষাঁড়টি দেখতে অনেক বড়, কিন্তু এমন একটি ঘরে রাখা হয়েছে ঠিকমত দেখা যায় না। সোনাবাবুর মালিক আবুল হোসেন এর ছোট বাড়ি, বেশী ওজন থাকায় বহিরে বেড় করা যায় না। তাই ছবিতেও ঠিকমত দেখা যায় না।

খামারী আবুল হোসেন বলেন, এ ষাঁড়টির উপযুক্ত দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চাই। যুদি কোন ব্যাক্তি বা কম্পানি আমার সোনা বাবুকে কিনতে চায়। তাহলে আমি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আমার বাড়ীতে রেখে গ্রাহকের বাড়িতে পৌছে দিব।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন ডা. মো. সেলিম জাহান বলেন, আবুল হোসেনের সোনাবাবু দেশীয় পদ্ধতিতে বড় করা হয়েছে। শুধু আবুল হোসেন নয়, সাটুরিয়ার কম পক্ষে ২০- ৩০ টি গরু রয়েছে বেশী ওজনের। আমরা আশা করছি সোনাবাবু ভাল দাম পাবে।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ৬ আগষ্ট ২০১৯।

আরো পড়ুুন