আমের শাখায় দুলছে সোনালী মুকুল

আব্দুস সালাম সফিক: মানিকগঞ্জে শীতের প্রভাব কমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি কুয়াশাও কমছে। শীত ও কুয়াশার শেষে আম গাছের কচি ডগা ভেদ করে বের হতে শুরু করেছে মুকুল। জেলার ৭টি উপজেলার ৬৫ টি ইউনিয়নের  বিভিন্ন গাছে গাছে আমের মুকুলের সমারোহ।

জেলার আম গাছের কচি শাখায় শোভা পাচ্ছে মুকুল। আমের শাখায় শাখায় উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। তারা আশপাশ মুখরিত করে তুলেছে।
আম গাছে মুকুল আসার আগ থেকেই পরিচর্যা শুরু করেছেন স্থানীয় চাষিরা। আম বাগানগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। মুকুল টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন চাষিরা।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের জানান, এবার গত মৌসুমের চেয়ে বেশি জমিতে আম চাষ হবে। মুকুল টিকিয়ে রাখতে চাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান।

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক বলেন, এ বছর আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমের মুকুল ঝরবে কম। ফলে আমের গুটি শক্ত হবে। তাই বাকিটা সময় আবহাওয়া ভাল হলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

উপজেলার বরাইদ গ্রামের আম চাষি মো. আনিসুর রহমান হিরো বলেন, মুকুল আসার সপ্তাহ আগ থেকে তিনি গাছের পরিচর্যা করতে শুরু করেছেন। ঘন কুয়াশার কারণে মুকুল কিছুটা ঝরে গেছে। অবশিষ্ট মুকুল টিকিয়ে রাখতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন পদ্ধতিতে বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অপরদিকে জেলার এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী শুধু আমের মুকুলে কিটনাশক ছিটিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। দলবেধে চাষীদের সাথে চুক্তিতে আমের মুকুলে কীটনাশক দিচ্ছেন। আবার অনেক কৃষকদের অর্দেক আমের বিনিময়েও এরা কাজ করে ভীশন কর্মব্যাস্ত সময় পার করছেন।

মানিকগঞ্জ২৪/ মানিকগঞ্জ/ সা.স/ হা/ফ/ ৭ মার্চ/ ২০১৮।
আরও পড়ুন:

হরিরামপুর কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

আরো পড়ুুন