সেই গাভাস্কার,এই গাভাস্কার !!!

ক্রিকেটে জীবন্ত কিংবদন্তী খুব
বেশী নেই। যাঁরা আছেন তাঁদের মধ্যে সুনীল গাভাস্কার অন্যতম। তাঁর
খ্যাতি,শ্রদ্ধার আসনটা কেবল ভারতে নয়,ভারতেরও বাইরে।

আমি নিজে ছোট্টবেলা থেকে ক্রিকেট খেলেছি,আম্পায়ারিং করেছি চাকুরিজীবনে না আসা পর্যন্ত।

শুধু খেলিনি,খেলা দেখেছি শুনেছিও নেশাগ্রস্থের মত। তখন টিভিতে খেলা দেখাতো
না। ভরসা ছিল রেডিও। রেডিওর এ্যান্টেনা টেনে,রেডিওর গায়ে কান লাগিয়ে
অসংখ্য দিন ৫দিনের টেস্টম্যাচ শুনেছি। সে সময় আমাদের দলের টেস্টস্ট্যাটাস
ছিল না। ছিল না ওয়ানডে, টিটোয়েন্টির নাম গন্ধ।
সুনীল
গাভাস্কার,ক্লাইভ লয়েড,জহির আব্বাস ছিলেন স্টেস্টম্যাচের সুপারস্টার।
পরশীদেশের বলে সুনীল গাভাস্কারের প্রতি টানটা ছিল অন্যরকম,বাড়তি।

 তাঁর
সেঞ্চুরি,ডাবল সেঞ্চুরির জন্য কত উদ্বিগ্ন মুহূর্ত যে কেটেছে তা আমরাই
জানি। অবসরের পর সুনীলের ঠাঁই হয় শ্রদ্ধার আসনে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সেই গাভাস্কার
শ্রীলংকা-বাংলাদেশ ম্যাচে সাকিবের সঙ্গত প্রতিবাদকে চরম ক্ষোভের সাথে
সমালোচনা করে শাকিবের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। এটুকুতেও তিনি থামলেন না।
বাংলাদেশের টিমের বিরুদ্ধে তার ভেতরকার বিষ নগ্নভাবে উগরে দিলেন গতকালকের
ভারত- বাংলাদেশ ফাইনালে।

নিজের বয়স,গৌরব,বিশ্বজনীন মর্যাদা ভুলে কমেন্ট্রিবক্সে বসেই আমাদের দলকে ব্যঙ্গ করে “নাগিন নাচ” নাচলেন।

নিজ দেশের জয়ের আনন্দে উদ্বেল তিনি হতেই পারেন,না হওয়াটাই ছিল অস্বাভাবিক।
কিন্তু তার প্রকাশভঙ্গিটা হবে অন্যরকম, ভিন্নমানের। অথচ তিনি সবকিছু ভুলে
নেমে এলেন স্ট্রিটবয়দের কাতারে। তাও যদি এই ফাইনালটা হত বিশ্বকাপ
ক্রিকেটের ফাইনাল।

গাভাস্কারের কাছে তিনদেশের নিদাহাস টুর্ণামেন্ট ট্রফিতো
অতিসাধারণ একটি বিষয়। অথচ সেখানেই তিনি স্বেচ্ছায় দিগম্বর হলেন।

কাল
খেলায় হেরে কষ্ট পেয়েছি,এই কষ্ট নতুন কোন জয়ে হয়তো মুছে যাবে,কিন্তু আমার
দেশের টিমকে উপহাস করে,ব্যঙ্গ করে তার নাগিন নাচের ছবি কোনদিন মুছবে না।
মানুষ শরীরের আঘাত ভুলে যায়,কিন্তু অপমান,অসম্মান কখনোই ভুলে না।

লেখা সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।

মানিকগঞ্জ২৪/ ১৯ মার্চ/ ২০১৮।
আরও পড়ুন:

ঢাকার রাস্তায় ভিআইপিদের জন্য আলাদা লেনের প্রস্তাব

আরো পড়ুুন