জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট মানিকগঞ্জ-৪ এর বিচারক শাকিল আহম্মেদ সিংগাইর থানাকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গেল বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এবারত হোসেনের কলেজ পড়–য়া ছেলে ফিরোজের ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ঝুমার লাশ উদ্ধা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে ঝুমা আক্তার সিংগাইর উপজেলা জয়মন্টপ গ্রামের এবাদুরের বাড়িতে গৃহকর্মীর পাশাপাশি লেখাপড়া ও গানবাজনা শিখতো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঝুমাকে নিয়ে যেতেন এবারত। নিজের বাড়িতেও গান বাজনার সাথে মদ ও মেয়েদের আড্ডা বসাতেন। ঝুমাকে এই আড্ডায় যোগ দিতে চাপ দিত এবাদুর ও তার স্ত্রী। কিন্তু এতে রাজি ছিলনা ঝুমা। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে এবারত হোসেন ও তার ছেলে ফিরোজ ঝুমার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাতো। বিষয়টি প্রকাশ করে দেবে এমন আশঙ্কায় পরিকল্পিত ভাবে ঝুমাকে হত্যা করা হয়েছে। সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রভাব খাটিয়ে এবারত হোসেন হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেস্টা করছে।
কিন্তু যে ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেই ঘরের দরজা খোলা ছিল, লাশের পা চেয়ারে ঠেকানো অবস্থায় পাওয়া, লাশের ঘার পিছনের দিকে বাঁকানো অবস্থায় থাকায় এটাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে নিশ্চিত হওয়া যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারে অরও বলা হয়েছে ঘটনার পর ফরিদা বেগম ও ফিরোজ বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় হত্যাকান্ডের বিষয়টি আরও বেশি করে স্পস্ট হয়েছে। ঘটনার পর এবারত হোসেনের পরিবার কিংবা এলাকার সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ঝুমার পরিবারের সাথে দেখা করেননি কিংবা সান্তনাও দেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইমাম হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমরা এখনও হাতে পাইনি। এর আগে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা। তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখছি।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১২ ডিসেম্বর/ ২০১৭।
আরও পড়ুন: